ব্লগিং করে আয় ! ক্লাসঃ ০১ | চলুন শুরু করা যাক কি করে ব্লগিং করে আয় করতে হয়।

ব্লগিং করে আয় ! ক্লাসঃ ০১ | 

হ্যালো পাঠক আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হলো ব্লগিং করে আয়। আপনি প্রতিমাসে প্রায় ১০০ থেকে ১০০০ ডলার আয় করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে আপনি ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। 

বর্তমান সময় প্রতিটি মানুষ অনলান থেকে আয় করতে চায় যেমন আমি, আপনি । আমরা কি করে আয় করবো তা জানান জন্য কিন্তু বিভিন্ন সময় গুগলে সার্চ করি। যেমন টি আপনি করে আমার ব্লগে এসেছেন। এখান আমার যে আর্টিকেলটি পড়ছেন সেটি আপনি পড়ছেন ফ্রিতে কিন্তু আপনি আসার কারনে আমি আমার ব্লগ সাইট থেকে ইমপ্রেশন পেয়েছে। এবং আপনার থেকে যখন একটি ক্লিক ও নিতে পারবো তাখনই আমার একটি অর্নিং হবে। 

এখন আসুন মূল কথায়ঃ 

ব্লগিং করে আয়
Bloging kore Income

ব্লগিং এর জনক কে?
ব্লগিং এর জনক হচ্ছেন  ইভান "ইভ" ক্লার্ক উইলিয়ামস।

সংক্ষিপ্ত পরিচয়:

ইভান "ইভ" ক্লার্ক উইলিয়ামস হলেন একজন আমেরিকান বিলিয়নিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। তিনি টুইটারের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা, এবং 2008 থেকে 2010 সাল পর্যন্ত এর সিইও ছিলেন এবং 2007 থেকে 2019 সাল পর্যন্ত এর বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি ব্লগার এবং মিডিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন, এ’দুটি বৃহত্তম ব্লগিং ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম ।


ব্লগিং কি?
ব্লগ হল এক ধরনের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা । ব্লগ শব্দটি ওয়েবব্লগের সংক্ষিপ্ত রূপ। 
  • যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। 
  • ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্লগ পাঠকগণ ব্লগটি পড়ে সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন।

প্রশ্ন: ব্লগ থেকে কি করে আয় করবো?

উত্তর : Content Writing করে। 

প্রশ্ন:  Content Writing কি?

Content" হলো টেক্সট, চিত্র, ভিডিও, অডিও বা এই উপাদানগুলির সমন্বয়ে তৈরী ইনফরমেশন / তথ্য। যা ডিজিটাল যোগাযোগের একটি মৌলিক দিক, এবং এটি তথ্য প্রদান, ধারণা প্রকাশ করার মাধ্যমে দর্শকের সাথে জড়িত থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

যে কনটেন্ট তৈরী করে, তাকে বলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর। 

প্রশ্ন:  কনটেন্ট ক্রিয়েটর কে? তাহার কাজ কি? 

Content Creator একজন পেশাজীবি যিনি সাধারণত ডিজিটাল প্লাটফর্মকে উদ্দেশ্য করে তার কাজ করে থাকেন যেমন: কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগ পোস্ট তৈরী, ইমেইল সেন্ড, নিউজ লেটার তৈরী, সোশাল মিডিয়া পোস্ট আপডেট, ইউটিউব ভিডিও তৈরী, এসিও করা, পোডকাস্ট করা, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি করে থাকেন।  

প্রশ্নঃ ব্লগ থেকে কতগুলো মাধ্যমে আয় করা যায়?

  1. বিভিন্ন এড নেটওয়াক থেকে Ads Setup করে । 
  2. যেমন : Google Adsense/ Monetag/Adsterra 
  3. Affiliate মার্কেটিং করে। 
  4. CPA মার্কেটিং করে। 
  5. Product/ Company Review লিখে। 
  6. ডিজিটাল পন্য ক্রিয় করে। 
  7. অনলাইন কোর্স/ টিউটোরিয়াল বিক্রয় করে 
  8. লোকাল বিজ্ঞাপন পোস্ট করে। 
  9. গেস্ট পোস্টিং করে।  ইত্যাদি।


প্রশ্নঃ কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো?

ব্লগিং শুরু করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
  1. ব্লগিং নিশ বা টপিক বাছাই করে ঠিক করা।
  2. ব্লগের নাম বাছাই করে ঠিক করা।
  3. ডোমেইন এর নাম বাছাই করে ঠিক করা।
  4. ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নির্ধারণ করা।
  5. ব্লগ সাইট তৈরি ও কাস্টমাইজ করা।
  6. ব্লগের SEO সেটআপ করা।
  7. ব্লগে পোস্ট লিখা ও দৈনিক মিনিমাম ৫টি পোস্ট করা 


নিশ বা টপিক কত প্রকার ও কি কি? 

ব্লগ নিশ দুই ধরনের হয়ে থাকে:
  1. মাল্টি ব্লগ নিশ ।
  2. মাইক্রো ব্লগ নিশ ।

মাল্টি ব্লগ নিশ কী ?

মাল্টি নিস হলো একটি সাইটে অনেকগুলো কি ওয়ার্ড ফোকাস করে আর্টিকেল/কনটেন্ট লেখা হয়। অনেক ওয়েবসাইটে দেখবেন বিভিন্ন টপিকের উপর পোস্ট পাবলিশ করে থাকে।

যেমনঃ অনলাইন ইনকাম এর উপর পোস্ট, এডুকেশন রিলেটেড পোস্ট, বিভিন্ন গ্যাজেট রিভিউ করে পোস্ট এবং নিউজ পোস্ট ইত্যাদি।

অর্থাৎ যে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন টপিকে পোস্ট পাবলিশ করা হয় তাকে মাল্টি নিস ব্লগ বলে।

মাইক্রো ব্লগ নিশ কী ?

মাইক্রো নিস হল যে সাইটে একটি নির্দিষ্ট টপিক বা কিওয়ার্ড প্রকাশ করে পোস্ট পাবলিশ করা হয়। অনেক ওয়েবসাইট দেখবেন শুধুমাত্র একটা টপিকের উপর পোস্ট পাবলিশ করে। যেমন কোন ওয়েবসাইটে দেখবেন হেলথ রিলেটেড পোস্ট করছে। ওই ওয়েবসাইটে হেলথ রিলেটেড পোস্ট ছাড়া আর কোন পোস্ট করেনা। একটি নির্দিষ্ট টপিক বা নিস বা কিওয়ার্ড ফোকাস করে যে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় তাকে মাইক্রো নিস ব্লগ বলে।

ব্লগিংয়ের টপিক বাছাই করতে হলে প্রথমেই ৪ টি বিষয় আপনার মাথায় রাখতে হবে। তা হলো:
  • Knowledge
  • Interest
  • High Search and Low Competition
  • Keyword Value
ব্লগ বা ওয়েবসাইটের নাম বাছাই করতে, অবশ্যই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করবেন:

০১। Short Domain Name – আপনার ওয়েবসাইটের নামটি যেন ছোট ও ইউনিক হয়। ছোট নামের সুবিধা হচ্ছে, এটি মানুষ সহজে মনে রাখতে পারবে ও টাইপ করে আপনার সাইট ভিজিট করতে সমস্যা হবেনা।

০২। Keyword Based – আপনার ব্লগের প্রধান কিওয়ার্ডটি ওয়েবসাইটের নামের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন। ধরুন আপনি যদি Cooking নিয়ে হয় ব্লগ তৈরী করেন, তাহলে আপনি Cooking শব্দটি আপনার ডোমেইন নামের মধ্যে রাখবেন। এতে খুব সহজেই আপনার ব্লগ Rank করতে পারবে।

০৩। Top Level Domain – ব্লগের নাম অনুসারে একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনবেন। সবচেয়ে ভাল হয়- .com বা .info ডোমেইন কিনা। কোন ফ্রি বা সাব ডোমেইন ব্যবহার করতে যাবেন না। এগুলোর অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

০৪। Avoid Numbers – আপনার ব্লগের নামের মধ্যে সংখ্যা যেমন, 24/ 360 এমন সংখ্যা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। 


ব্লগিং প্লাটফর্ম নির্বাচন করুনঃ 

WordPress : 
Paid : Main Domain, Hosting, Themes, Plugin etc. 
Free: Themes and Plugins.

Blogger.com
Paid : Domain, Themes 
Free : Hosting, Themes 

বেস্ট ডোমেইন নেইম বাছাই করুন : 
ওয়েবসাইটের শেষে। dot (.) এর পর যে অংশটি থাকে তাই ডোমেইন। যেমন – .com, .net, org, info, online, এগুলো প্রত্যেকটাই এক একটি ডোমেইন। যেমন- আমার এই ওয়েবসাইটের abdulahwal.com এর ডোমেইন হলো .com।

আপনি কোনটি নিবেন? ওয়েবসাইটের ধরণ অনুসারে বিভিন্ন ধরণের ডোমেইন রয়েছে। সাধারণত, বানিজ্যিক (Commercial) সাইটের জন্য .com, নেটওয়ার্কিং (Networking) সাইটের জন্য .net, সংগঠন (Organization) সাইটের জন্য .org, নিউজ ও ইনফরমেশনাল সাইটের জন্য রয়েছে .news ও .info ইত্যাদি। এভাবে কার্যক্রম ও ধরণ অনুসারে বিভিন্ন ডোমেইন রয়েছে।

কিছু পপুলার ডোমেইন ও হোস্টিং প্রতিষ্ঠান।

পপুলার ইন্টারন্যাশনাল ডোমেইন ও হোস্টিং রেজিষ্ট্রারগুলো হচ্ছে:
  • Hostinger
  • Namecheap
  • Godaddy
  • DreamHost
  • HostGator
  • Bluehost

Ad Networks: 


899 Taka Offer 
One Year .com Domain bKash payment দিয়ে ক্রয় করুন 

আমার প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী আপনাদের প্রতিদিন যে বিষয় নিয়ে ক্লাস হবে তার উপর আমি আপনাদের একটি ক্লাস নোট দিবো। উক্ত নোটটি আপনারা নিচের ক্লিক হেয়ার বাটনে ক্লিক করলে পেয়ে যাবেন। 








Previous Post Next Post